নদীর দু-পারে চর পড়ে
নাকি; হাহ্, আমার চরণসমূহ আর
একাদশীময় জগতের ঘাড়ে
ভাবনার ছিন্নমস্তি অথই এক শিল্পীর
জীবন নিয়ে চলে লুকোচুরি।
বড্ডো এলোমেলো ভাবনারা সব;
সহচররা আমার, আর বড্ডো সুখে থাকা সহচরি-
আর, অজেয় মনের ভরা কলরব
দুলে ওঠা হৃদি আমার তার কুন্তলদাম হেরি
ভাবনাকুসুম-ঝরে পড়ে মঞ্জরি।
ছায়ার পাশে ছায়া হয়ে থাকি
বর্ষামঙ্গল গেয়ে যাই শীতে
স্বপ্ন দেখার পর্ব আরো বাকি
জীবন পোঁতা নড়বড়ে ভীতে
চমকাই পথে অদৃশ্য তার রাতুল অঙ্গুলি ধরি।
দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অবধি-
খেয়ে ফেলে ঝাপসা চোখের মনসুবিজন
বয়ে চলে নাকি- কাল নিরবধি
লোলচর্ম দিন ঠেঙ্গিয়ে চলে যাপিত জীবন
যখন, কুশীলব নেই দৃশ্যের কুটিল ভ্রকুটী হেরি।
দড়কচা মেরে পড়ে থাকা, জটাবাঁধা
কালের ছোপছোপ আধাঁর নিয়ে বুকে-
মিছেই গল্প বোনার ইচ্ছেটাকে সাধা
বয়েসি শীমের ঝুলে পড়া শোকে-
করতালি দেন ঈশ্বর, সাথে নাচেন ঈশ্বরী।
আমি এবং আমরা যারা
সব কিছুতেই খুঁজে মরি বৃষ্টি সোঁদা,
ডোলকলমির পাতার মতো গন্ধ ভরা
চাপা-কাষ্ঠ-অট্টহাসির ফোয়ারা সাধা-
ভৃত্য যেন দৈনন্দিনের ধন্বন্তরী।
ভাবনার অলিতেগলিতে পোকাধরা
জং পড়া সব ছ্যতরে যাওয়া চ্যাপ্টানো দিন
চালচুলোহীন- ভুল ব্যাকারনে ব্যাখ্যা করা
ভুল দিনের স্বপ্ন রঙ্গীন,
নিয়তির পশ্চাতে হাসে ডাকাত চোখের যাদুকরি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন